Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ জুলাই ২০২৩

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ খাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিদ্যুৎ খাতে সমন্বিত আইসিটি উন্নয়নে আইসিটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং উক্ত রোডম্যাপ অনুযায়ী আইসিটি উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ/বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  বিদ্যুৎ খাতে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জাতীয় শুদ্ধাচার (NIS) বাস্তবায়নসহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। অচিরেই রোডম্যাপ অনুযায়ী Enterprise Resource Planning (ERP) বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে ‘পেপারলেস’ অফিসে রূপান্তর করা হবে।

৯.১ বিদ্যুৎখাতে গৃহীত তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য উদ্যোগসমূহ নিম্নরূপ:

(১) ইআরপি বাস্তবায়ন:

বিদ্যুৎ খাতের জন্য সমন্বিত ERP বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে  কনসোর্টিয়াম অব মেসার্স টেকভিশন, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ কম্পিউটার সার্ভিসেস লিঃ টেকনোহেভেন এর সাথে (বিদ্যুৎ বিভাগসহ স্রেডা, পিডিবি, আরইবি, ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো, নেসকো, পিজিসিবি, এপিএসসিএল, ইজিসিবি, আরপিসিএল, নওপাজেকো এবং সিপিজিসিএল) ১৩টি সংস্থায় ৪টি মডিউল বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ERP বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ERP বাস্তবায়নের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এবং ইতোপূর্বে বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন ERP সমূহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের ১৩টি সংস্থায় ERPএর ৪টি মডিউল সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ, চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজেশন, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতি কারণে বাস্তবায়নে বিশেষ করে করোনাকালীন বিরূপ পরিস্থিতির কারণে ইউটিলিটিসমূহ হতে তথ্য প্রাপ্তিতে অধিক সময় প্রয়োজন হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী এইচআরএম, ফিক্সড অ্যাসেট, ফিন্যান্স এন্ড অ্যাকাউন্টস, প্রকিউরমেন্ট-এই চারটি মডিউল সংস্থা/কোম্পানিসমূহের চাহিদার আলোকে আরও সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে বাস্তবায়নসহ প্রশিক্ষণের কাজ চলমান আছে। এছাড়াও সমন্বিত ERP বাস্তবায়নকালে বিভিন্ন সময়ে দপ্তর/সংস্থা/কোম্পানিসমূহের চাহিদার আলোকে মডিউলসমূহ পরিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও অধিক কার্যকর করার  জন্য ২টি মডিউল - Inventory Management, Plant Management ও ২টি সাব-মডিউল - Performance Management, Tender Management বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে।

 

(২) বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন: নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অন-লাইনে আবেদন করা যায়। ফলে গ্রাহকগণ ঝামেলামুক্তভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করতে পারেন এবং অন-লাইনের মাধ্যমে সংযোগের হালনাগাদ তথ্য পেতে পারেন। এতে গ্রাহক ভোগান্তি হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে ৭ দিনে আবাসিক সংযোগ ও ২৮ দিনে শিল্প সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

(৩) বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ: গ্রাহকদের জন্য কিছুদিন আগেও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা একটি ঝামেলার বিষয় ছিল। ব্যাংক ও ইউটিলিটির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে বিল পরিশোধের পরেও পুনরায় বিল দাবী করার ঘটনা ঘটত। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমানে সকল গ্রাহকের হিসাব কম্পিউটারের ডাটাবেইজের আওতায় আনা হয়েছে এবং মোবাইলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের তথ্য জানতে পারেন। এখন মোবাইল ফোন এবং অন-লাইনের মাধ্যমেও গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেন।

(৪) অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা: গ্রাহকগণের বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ অভিযোগ দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে কল সেন্টারের (১৬৯৯৯) মাধ্যমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উক্ত কল সেন্টার নম্বরে বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাহকগণ অভিযোগ জানাতে পারেন এবং বিভিন্ন সেবা বা তথ্য দিন-রাত ২৪ ঘন্টা পেতে পারেন।  যে কোন গ্রাহক যেকোন সময় অন-লাইনে, সোশ্যাল মিডিয়া, এ্যাপস এর মাধ্যমে সহজে ও দ্রুততম সময়ে অভিযোগ, মতামত প্রদান ও ট্র্যাক করতে পারে। ফলে প্রাপ্ত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। এর মাধ্যমে জাতীয় শুদ্ধাচার (NIS) বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে।

(৫) ই-নথি ব্যবস্থাপনা: বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন সংস্থা/কোম্পানিসমূহে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ই-নথি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে নথি নিষ্পত্তির হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্মকর্তাগণের নথি নিষ্পত্তি পরিবীক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য যে বিদ্যুৎ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ খাতের সংস্থা/ কোম্পানিসমূহের ‘ই-নথি ব্যবস্থাপনা’ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

(৬) প্রকল্প পরিবীক্ষণ ব্যবস্থাপনা: বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার এডিপিভুক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণের অফিস দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। প্রকল্প পরিচালকগণ হতে তথ্য একীভূত করে  সংস্থাভিত্তিক পরিবীক্ষণ করা বেশ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ ছিল। ওয়েব-ভিত্তিক প্রকল্প পরিবীক্ষণ ব্যবস্থাপনা চালু করায় দূর-দূরান্ত অফিস হতে প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক তথ্য প্রদানের সাথে সাথেই তা সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিবীক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৭) ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থাপনা: ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎখাতে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। বিদ্যুৎখাতে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনয়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সকল ইউটিলিটিসমূহের মধ্যে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

(৮) কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:

বিদ্যুৎ খাতের সংস্থাসমূহকে নানাবিধ কারণে বিভিন্ন মামলার সম্মুখীন হতে হয়। পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণের অভাবে মামলাসমূহ পরিচালনা ও বিভিন্ন পর্যায়ে তদারকিতে সমস্যা দেখা দেয়। উক্ত বাস্তবতায় বিদ্যুৎ খাতের সকল মামলার তথ্য ও অবস্থা জানার জন্য এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার স্বার্থে কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার ডিপিডিসির সহায়তায় তৈরী করা হয়েছে। জুলাই ২০১৭ থেকে চালু সিস্টেমটিতে মামলা সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন-আইনজীবী, বাদী-বিবাদী, সাক্ষী, আদালত, মামলার খরচ প্রভৃতি তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। সংস্থাসমূহ তাদের মামলা গুলোর পরবর্তী শুনানির তারিখ এবং মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়মিতভাবে এই সিস্টেমে হালনাগাদ করতে পারে। ফলে মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট এ সিস্টেম থেকে তৈরি করা যায়। বিদ্যুৎ বিভাগ সকল সংস্থার মামলাসমূহ এ সিস্টেম থেকে মনিটর করতে পারে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক নানাবিধ উদ্যোগ যেমন হ্যাকাথন, আইডিয়া প্রতিযোগিতা, নিয়োগ, লাইব্রেরী ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

(৯) ) SAIFI/SAIDI: বর্তমানে বিদ্যুতের রিলাইবিলিটি পরিমাপক ) SAIFI/SAIDI নির্ণয় ম্যানুয়ালভাবে রেজিস্টারের মাধ্যমে গণনা করা হয়। ইতোমধ্যে ওজোপাডিকো শতভাগ ) SAIFI/SAIDI পরিমাপক অটোমেশন ও ডিপিডিসি আংশিক অটোমেশন সম্পন্ন করেছে এবং অন্যান্য বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিসমূহ এর SAIFI/SAIDI অটোমেশন কার্যক্রম চলমান আছে।

(১০) SCADA: বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর স্থাপিত দেশব্যাপী বিস্তৃত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে দেশের অন্যতম বৃহত্তম অত্যাধুনিক ডিজিটাল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে, যা সকল বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোকে এনএলডিসির SCADA System এ সংযুক্ত করেছে। দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সুষ্ঠু, সাশ্রয়ী ও নিরাপদভাবে পরিচালনায় পিজিসিবি ও এর অধীন এনএলডিসি নিরলসভাবে কাজ করছে। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতের কয়েকটি বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিসমূহে SCADA System চালু আছে  এবং অন্যান্য বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিসমূহে SCADA System চালুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(১১) পেপারলেস অফিস রূপান্তরে কর্মপরিকল্পনা: বিদ্যুৎ খাতের অফিসসমূহ পেপারলেস করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। পেপারলেস অফিসে রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি ‘পেপারলেস অফিস নির্দেশিকা’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

(১২) সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম: বিদ্যুৎ খাতের সাইবার নিরাপত্তার লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি সাইবার নিরাপত্তার করণীয় নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের BGD e-gov CIRT এর সাথে বিভিন্ন সময় সভা এবং তাদের দপ্তর পরিদর্শন করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

 ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পিজিসিবির OPGW:

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে পিজিসিবির সঞ্চালন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত Optical Ground Wire (OPGW) বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মূলত আধুনিক স্ক্যাডা সিস্টেমের দ্বারা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার যথাযথ মনিটরিং ও কন্ট্রোলের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য বিভিন্ন গ্রিড ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ডেটা সংগ্রহ ও ভয়েজ কমিউনিকেশন নিশ্চিতকরণে অপ্টিক্যাল নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, বজ্রপাত থেকে সঞ্চালন লাইনের সুরক্ষার জন্য OPGW বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পিজিসিবি ১৯৯৬ সাল হতে সঞ্চালন লাইনের ওপরে গ্রাউন্ড-ওয়্যার এর পরিবর্তে OPGW প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। পিজিসিবি কর্তৃক ইতোমধ্যেই প্রায় ৭,৩৭৭ কিলোমিটার OPGW স্থাপন করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পিজিসিবির OPGW নেটওয়ার্ক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি শক্তিশালী ব্যাকবোন হিসেবে ব্যবহার করে দেশের চলমান তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবকে আরও বেগবান করার অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে বিস্তৃত এ ওভারহেড OPGW তথ্যপ্রযুক্তি, বিশেষ করে জনগণের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানে ব্যবহার করলে প্রযুক্তির সমন্বয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা আরও শক্তিশালী হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় পিজিসিবি শুধুমাত্র নিজস্ব যোগাযোগ ও সঞ্চালন লাইনের নিরাপত্তার জন্য সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে ২০০৬ সালে জাতীয় যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে গ্রামীণ ফোন লিঃ এর নিকট ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশে ২৪৬ কিলোমিটার ডার্ক অপটিক্যাল ফাইবার লিজ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্রামীণ ফোন লিঃ (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অংশ), বাংলালিংক, রবি, ইউজিসি, বিটিসিএল, ফাইবার@হোম লিঃ এবং সামিট কমিউনিকেশন লিঃ-কে অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ কে দেশব্যাপী প্রায় ১৯৮৪ কিলোমিটার ০১ (এক) জোড়া অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উক্ত লিজ প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পিজিসিবির আয় বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের সকল ক্যান্টনমেন্টকে একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পিজিসিবির অপ্টিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করেছে, যার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।         

উল্লেখ্য, পিজিসিবি ২০১৪ সালে বিটিআরসির কাছ থেকে NTTN (Nationwide Telecommunication & Transmission Network) লাইসেন্স পাওয়ায় দেশব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে পিজিসিবি দেশব্যাপী ১০০ জিবি ব্যান্ড-উইথ ট্রান্সমিশনের একটি বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর, IIG ও ISP অপারেটরদের নিকট উল্লিখিত পরিমাণ উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সমগ্রদেশে  ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে।